Header Ads

ইঙ্গিতসূচক শব্দে তালাক

 আসসালামু আলাইকুম, 

আমি তাসনিম দীপ্তি পিতা: মৃত দিলদার ফকির  মাতা : প্রেমা পারভীন। 

বিষয়: তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালার সমাধান

আমি যশোর থেকে বলছি। আমি পরিবারের অনুমতি ছাড়া আমার কোন অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে আমি মনির নামে একটি ছেলের সাথে বিয়ে করি। বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে আমার পরিবারের কেউ ছিলনা। মনিরের পক্ষ থেকে সাক্ষী হিসেবে তিনজন ছিল। তারাও বাইরের মানুষ। মনিরের রক্তের কেউ না। আমার পরিবার এ  বিয়ের বিষয়টি জানা জানি হলে মনিরের সঙ্গে  যোগাযোগ করলে  সে আমার পরিবারের কাছে সময় চায়। আমার পরিবার সময় দিতে অস্বীকার করলে  আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে বলে। অন্যদিকে সে আবার আমাকেও ব্যক্তিগতভাবে ফোন দিয়ে বলে বিয়ে করে নিতে অন্য জায়গায়। সে আমাকে বলে এ বিয়ে কোন বিয়ে নয় এ বিয়ে মনে রাখার মত কিছু হয়নি সব ভুলে বিয়ে করে নাও।  তার সাথে আমার সামাজিক বা গোপোনীয় ভাবে কোন সংসার হয়নি।এই ঘটনার  ৭-৮ মাস পরে আমার আগের বিয়ে গোপন রেখে পরিবারের  অনুমতি সাপেক্ষে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুনরায় বিবাহকরি অন্য জায়গায়। 

এমতাবস্থায় আমার দ্বিতীয় বিয়ে কি শরীয়ত মোতাবেক বৈধ? উল্লেখ্য যে আমার দ্বিতীয় বিবাহের বয়স দশ বছর। আমার একটি  নয় বছরের ছেলে সন্তান আছে।

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!

আপানর প্রথম বিবাহ ‘বিবাহ’ হিসেবে গণ্য হয়েছে। আপনার স্বামী যা বলেছে যে, এ বিয়ে কোন বিয়ে নয় এ বিয়ে মনে রাখার মত কিছু হয়নি” তার এই কথা সহিহ নয়। বরং তিনজন সাক্ষীর উপস্থিতি বিবাহ সম্পন্ন হওয়া এটা শরঈ বিবাহ হিসেবেই গণ্য হয়েছে। কিন্তু আপনার স্বামী যখন বলেছে “সব ভুলে বিয়ে করে নাও”। এই কথার কারণে আপনার ওপর বায়েন তালাক পড়েছে। কেননা এগুলো তালাকের  ইঙ্গিতসূচক শব্দ। এজাতীয় শব্দে যদি তালাকের নিয়ত থাকে তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্বামী যতো নিয়ত করবে ততো তালাকই পতিত হবে।  কাজেই প্রশ্নাক্ত মাঝেও আপনাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কেননা প্রশ্নের ধরণ থেকে এটাই প্রতীয়মাণ হয় যে, তিনি  বিবাহ ভেঙ্গে দেয়ার উদ্দেশ্যেই ‘‘সব ভুলে বিয়ে করে নাও” বাক্য উল্লেখ করেছেন।  তবে যেহেতু ইদ্দতের মধ্যে তিনি আপনাকে ফিরিয়ে নেননি। তাই আপনাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সেই সূত্রে আপনার পবরর্তী বিবাহও সহিহ হয়েছে এবং আপনার সেখানে সংসার করাও শরীয়তসম্মত হয়েছে।



وفي مختصر القدوري  صـ 603 مكتبة التقوى . والضرب الثاني : الكنايات ولا يقع بها الطلاق إلا بالنية أو بدلالة  حال على، وهي على ضربتين،  منها ثلاثة ألفاظ يقع بها الطلاق الرجعي، ولا يقع بها إلا واحدة وهي قوله اعتدي واستبرئي رحمك . وأنت واحدة  وبقية الكتابات إذا نوى بينها الطلاق كانت واحدة بائنة وإن نوى ثلاثا كانت ثلاثا وإن نوى ثنتين كانت واحدة وهذه مثل قول أنت بائن. وينة وبتلة وحرام.


    في الفتاوى الهندية ٤٤٢/١ الفصل الخامس في الكنايات لا يقع بها الطلاق إلا بالنية أو بدالة حال ، ثم الكنايات ثلاثة أقسام . ما يصلح جوابا لا غير : أمرك بيدك اختاري اعتدى

وما يصلح جوابا وردا لاغير : اخرجي، اذهبي، اعزبي، قومي، تقنعي، استتري، تخمري . وما يصلح جوابا وشتما خلية، برية بتة، بتلة، بائن، حرام .

    وفي الفتاوى التاتارخانية ٤٤٧/٤  . الكنايات تنقسم على ثلاثة أقسام كناية، ومدلولات، وتفويضات

1- فالكنايات قوله أنت بائن، وبتة ، وخلية، وبرية ، وحرام

 2- والمدلولات مثل قومي، واذهبي وتقنعي الحقى بأهلك، وابتغى الأزواج ولا نكاح بيني وبينك ، وخليت سبيك وحبلك على غاربك ولا ملك لي عليك ولا سبيل لي عليك وهبتك لأهلك .

3- والتفويضات قوله أمرك بيدك واختاري،  إذا قال لامرأته أنت علي حرام ..... وذلك في غير حال مذاكرة الطلاق فإنه يسأل عن نيته فإن نوى الطلاق يسئل كم نويت؟ فإن نوى ثلاثا فثلاث وإن نوى واحدة فواحدة بائنة وإن نوى ثنتين فهي واحدة بائنة أيضا.


        وفي المحيط البرهاني ٤٤٣/٤ ولو قالت لزوجها طلقني فقال الزوج أنت حرام أو أنت بائن، كان طلاقا، وإذا قالت المرأة مثل ذلك بعد ما صار الطلاق في يدها.


        وفي الذخيرة البرهانية : صـ 4/66 : ولو قال لها : اذهبي وتزوجى لا يقع الطلاق إلا بالنية (وإن نوى فهي واحدة بائنة وإن نوى) الثلاث في ثلاث


উত্তর প্রদানে

মুফতি  সাইদুজ্জামান কাসেমী

উস্তাজুল হাদিস ওয়াল ইফতা

জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা



No comments

Powered by Blogger.