হারাম মালে উত্তরাধিকারের বিধান
প্রশ্ন:
যদি কোন ব্যক্তি হালাল ও হারাম উভয় পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাহলে তার ঐ সম্পদ কি তার ওয়ারিশগন এর জন্য বৈধ হবে? অথবা অন্য কোন পন্থা থাকে তাহলে সেটা বলে দিলে চির কৃতজ্ঞ থাকব।
![]() |
canva |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
যদি কারো পিতা/মৌরুস জুয়া, সুদ ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন, তাহলে উত্তরাধিকারীদের জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করা জায়েজ নয়; বরং, যদি তারা ওই অর্থের মালিক সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে তাহলে তাদের জন্য আবশ্যক হলো, মালিককে তার অর্থ ফেরত দেওয়া । আর মালিক জ্ঞাত না থাকলে সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া যাকাত গ্রহণের যোগ্য কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এই বিধান তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন সম্পত্তি হালাল-হারামে মিশ্রিত না হয়, বরং স্বতন্ত্র হয়। কিন্তু যদি সম্পত্তি যদি হালাল-হারামে মিশ্রিত হয়ে যায় তাহলে তাহলে হারাম সম্পত্তির সমপরিমাণ টাকা মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে বা মালিক অজ্ঞাত থাকা অবস্থায় সদকা করে দিয়ে অবশিষ্ট সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের জন্য ব্যবহার জায়েজ হয়ে যাবে।
রদ্দুল মুহতার কিতাবের: ফাসেদ ক্রয়বিক্রয় অধ্যায়ে আছে-
مات وکسبه حرام فالمیراث حلال، ثم رمز وقال: لا نأخذ بہذہ الروایة، وهو حرام مطلقا علی الورثة فتنبه. اہ. ح، ومفادہ الحرمة وإن لم یعلم أربابه وینبغی تقییدہ بما إذا کان عین الحرام لیوافق ما نقلناہ، إذ لو اختلط بحیث لا یتمیز یملکہ ملکا خبیثا، لکن لا یحل لہ التصرف فیہ ما لم یؤد بدلہ کما حققناہ قبیل باب زکاة المال فتأمل.(رد المحتار:7/ ،باب البیع الفاسد)
দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে-
اگر کسی کے والد نے جوا ،سٹہ سود وغیرہ سے مال کمایا ہو تو ایسی کمائی کا استعمال ورثاء کے لیے جائز نہیں ؛بلکہ اگر صاحب مال کا علم ہو تو اس کو واپس کرنا ضروری ہے ورنہ بلانیتِ ثواب فقراء پر صدقہ کردیا جائے۔واضح رہے کہ یہ حکم اس صورت میں جبکہ مال حرام مخلوط نہ ہوبلکہ متمیز ہو اور اگر مالِ حرام حلال کے ساتھ مخلوط ہو تو مالِ حرام کے بقدر صدقہ کرکے یا مالک کا علم ہونے کی صورت میں اس کو واپس کرکے اس تمام مال کو ورثاء کے لیے استعمال میں لانا جائز ہوجائے گا ۔
No comments