সালাতুল মাজুর
যার অনবরত পেশার ঝরে বা এজাতীয় কোন রোগে আক্রান্ত, যার ফলে তিনি এতটুকু সময় পান না, যার মধ্যে তিনি ওয়াক্তের ফরজ নামাজ আদায় করতে পারেন। শরিয়তের পরিভাষায় এধরনের ব্যক্তিকে মাজুব বলা হয়। মাজুর ব্যক্তির হুকুম হলো, নামাজের সময় হয়ে গেলে অজু করে নিবে এবং এই অজু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নতসহ যাবতীয় নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। এমনিভাবে কুরআন তেলওয়াতসহ অন্যান্ন ইবাদতও করতে পারবে। নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ার সাথে সাথে তার অজুও শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী ওয়াক্তের জন্য পুনরায় অজু করতে হবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
لًَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا
আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব অর্পণ করেন না। সুরা বাকারা: ২৮৬
সহিহ বুখারী শরীফে হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
جَاءَتْ فَاطِمَةُ ابْنَةُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ، إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ، وَلَيْسَ بِحَيْضٍ، فَإِذَا أَقْبَلَتْ حَيْضَتُكِ فَدَعِي الصَّلاَةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي ". قَالَ وَقَالَ أَبِي " ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ، حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ ".
ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ রা. রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার এত বেশী রক্তস্রাব হয় যে, আর পবিত্র-ই হই না! এমতাবস্থায় আমি কি নামাজ ছেড়ে দেব? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন্র, এ তো ধ্বমনি নির্গত রক্ত! হায়েজ নয়!! তাই যখন তোমার হায়েজ আসবে তখন নামাজ ছেড়ে দিও। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে। তারপর নামাজ আদায় করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার পিতা বলেছেন, তারপর এভাবে আরেক হায়জ না আসা পর্যন্ত প্রত্যেক নামাযের জন্য অজু করবে। -সহীহুল বুখারী। হাদীস নং: ২২৮
তথ্যসূত্র:
في مراقي الفلاح مع حاشية الطحطاوي 149المكتبة الأشرافية
في البحر الرائق 1/372 زكريا : و تتوضأ المستحاضة ومن به سلس بول استطلاق بطن ... لوقت كل فرض ويصلون به فرضا ونفلا -
في إمداد الفتاح 145 مكتبة الاتحاد: وتتوضأ المستحاضة و من به عذر كساس بول أو استطلاق بطن لوقت كل فرض ويصلون به ما شاء من الفرائض والنوافل
No comments